অফিস খোলা রেখে লকডাউন, গুনতে হচ্ছে পাঁচ গুণ বেশি ভাড়া

অফিস খোলা রেখে লকডাউন, গুনতে হচ্ছে পাঁচ গুণ বেশি ভাড়া

অফিস খোলা রেখে সীমিত লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে গাড়ি আর রিকশার দখলে রাজধানীর সড়ক।

অফিস খোলা রেখে লকডাউন, গুণতে হচ্ছে পাঁচ গুণ বেশি ভাড়া
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কর্মক্ষেত্রে যেতে ভোগান্তির যেন শেষ নেই। কয়েক গুণ বেশি ভাড়া গুনেও মিলছে না যানবাহন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পাশাপাশি রয়েছে যানজটে দুর্ভোগ। ট্রাফিক পুলিশ বলছে, লকডাউন মেনে চলতে নাগরিকদের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছেন তারা। 

রাজধানীতে শত শত মোটরবাইক, ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশার দখলে পুরো সড়ক। নেই শুধু গণপরিবহন। সিএনজিচালিত অটোরিকশাও চলছে। রাজধানীতে সর্বাত্মক লকডাউনের আগে সীমিত লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে এমনই চিত্র চোখে পড়েছে। 

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশও। তবে গণপরিবহন না থাকায় অফিসগামীদের ভোগান্তি সীমা ছাড়াচ্ছে। 

মঙ্গলবার (২৯) সকালে দেখা যায়, নগরীর মোড়ে মোড়ে শত শত যাত্রী রিকশার অপেক্ষায়। তারা বলছেন, অফিস খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া তামাশার শামিল। অফিসে যেতে তাদের চার পাঁচ গুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। 

মোটরবাইকে যাত্রীপরিবহন নিষিদ্ধ করা হলেও তা মানতে দেখা যায়নি কাউকেই। অনেকে আবার চেষ্টা করেছেন মালবাহী গাড়িতে চড়ে অফিসে যেতে। তবে সবচেয়ে দুর্ভোগ পোহাতে দেখা যায় নারী ও বয়স্কদের। 

এদিন নাগরিকদের চলাচল রুখতে নগরীতে তেমন কোনো চেকপোস্ট লক্ষ করা যায়নি। তবে ট্রাফিক পুলিশ বলছে, প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা মানতে তারা রাস্তায় আছেন। 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সোমবার (২৮ জুলাই) থেকে সীমিত পরিসরে লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। 

রোববার (২৭ জুন) বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় কিছু শর্তাবলি সংযুক্ত করে আগামী ২৮ জুন সকাল ৬টা থেকে থেকে ১ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো। 

এ সময়ে সারাদেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ছাড়া সব গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। সব শপিংমল বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করবে। 

এ ছাড়া সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে সরকারি-বেসরকারি অফিস। সরকারি-বেসরকারি অফিস প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু প্রয়োজনীয়সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অফিসের ব্যবস্থাপনায় তাদের আনা-নেওয়া করতে হবে। 

অন্যদিকে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবারের দোকান খোলা থাকলেও সেখানে বসে খাওয়া যাবে না। খাবার অনলাইনে অর্ডার করা যাবে। এ ছাড়া জরুরি সেবাসমূহ খোলা থাকবে। 

আপনি আরও পড়তে পারেন